সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:২০ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মার্কিন পতাকা নামিয়ে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে উড়লো ফিলিস্তিনি পতাকা! বিএনপি সাংগঠনিকভাবে আরও দুর্বল হচ্ছে: ওবায়দুল কাদের বিষয়টি আদালতেই সুরাহার চেষ্টা করব, হাইকোর্টের নির্দেশনা নিয়ে শিক্ষামন্ত্রী গাজার ভবিষ্যত নিয়ে আলোচনা করতে সৌদিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দেশের সর্বোচ্চ ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড চুয়াডাঙ্গায় দেশ থেকে আইনের শাসন উধাও হয়ে গেছে : মির্জা ফখরুল স্বর্ণের দাম ভরিতে কমলো ১১৫৫ টাকা তীব্র তাপপ্রবাহ : স্কুল-মাদরাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ হাইকোর্টের মঙ্গলবারও ঢাকাসহ ২৭ জেলায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যাঞ্চলে টর্নেডোর আঘাতে নিহত ৫
বাঁশের সাঁকো : কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা…….?

বাঁশের সাঁকো : কোমলমতি শিক্ষার্থীদের একমাত্র ভরসা…….?

স্বদেশ ডেস্ক: পা পিছলে যেকোনও সময় ঘটে যেতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। কারও সাঁতার জানা না থাকলে মৃত্যুও হতে পারে। অথচ এরাই হবে একদিন এ দেশের ভবিষ্যৎ। ব্রিজ কিংবা বিকল্প রাস্তা না থাকায় নদী-খাল পাডা পার এক মোড়া বাঁশের সাঁকোই বরগুনা আমতলীর ২০নং পূর্ব কেওযা বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীর একমাত্র ভরসা। এই সাঁকো পার হতে প্রতিদিন কোনও না কোনও দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে তারা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আমতলী উপজেলার কুকুয়া ও আঠারো গাছিয়া দুই ইউনিয়নের সীমানাবর্তী খাগদান নদীর পাশে ২০নং পূর্ব কেওয়া বুনিয়া প্রাথমিক বিদ্যালয়। ১৯৭১ সালে প্রতিষ্ঠিত ওই বিদ্যালয়ে বর্তমানে প্রায় ৩শ’ শিক্ষার্থী লেখাপড়া করছে। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই বিদ্যালয়েটিতে নেই কোনও খেলার মাঠ, নেই কোনও ভালো রাস্তা বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার।
বর্ষা মৌসুম এলেই বিদ্যালয়ের চারপাশে পানিতে থৈ থৈ করে। ভালো সড়ক পথের ব্যবস্থা না থাকার কারণেই বর্ষাকালে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকে বেশির ভাগ শিক্ষার্থীরা। একমাত্র ভরসা বাঁশের সাঁকো তখন কোমলমতি শিশুসহ স্কুলের আসা-যাওয়ার ব্যাপারে অভিভাবক থাকে দুশ্চিন্তায়।
শিক্ষার্থীরা জানায়, ওই সাঁকো দিয়া যাওয়ার বেলা অনেক সময় হাত থেকে বই, খাতা, কলম পড়ে যায়। সাঁকো দিয়া যেতে ধরলে নিজেদেরও হাত-পা কাঁপে। স্কুল সংলগ্ন স্থানীয় প্রতিবন্ধী দোকানদার ফজলুল করিম জানান, এই স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী হচ্ছেন সনাতন ধর্মের আর এই সনাতন ধর্মের কোমলমতি শিশুরা আঠারো গাছিয়া ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন এই সাঁকো পারাপার হয়ে বিদ্যালয় আসেন। আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে একটি ব্রিজ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি। অভিভাবকদের মধ্যে থেকে সনাতন ধর্মের পূজা মন্ডলের সভাপতি শৈলন চন্দ্র সাহা জানান, আমাদের মহালয় কাছে প্রার্থমিক বিদ্যালয় না থাকায় পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নে আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করতে হয়। আর ওই বিদ্যালয়ে যেতেই প্রতিদিন কোমলমতি শিশুদের বাঁশের সাঁকো পাড়াতে হয়। এ জন্য বাচ্চাদের জন্য খুব টেনশন হয কখন না জানি কি হয়ে যায়। এ জন্য বাচ্চারা স্কুলে আসতে চায় না প্রতিনিয়ত। ভবিষ্যৎ কথা চিন্তা করে একটি ব্রিজ খুবই দরকার।
২০নং পূর্ব কেওয়া বুনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খাদিজা বেগম জানান, স্কুলটি উপজেলার দুটি ইউনিয়নের সীমানায়। এলাকাটি অত্যন্ত অবহেলিত জনপদ। এখানে চলাচলের চরম দুর্ভোগ। বাচ্চারা স্কুলে আসতে গেলে প্রতিনিয়ত বাঁশের সাকো পার হতে দুর্ঘটনার শিকার হয়। দীর্ঘদিন ধরে প্রধান সড়ক থেকে স্কুলের সাথে সংযোগ সড়ক নির্মাণের জন্য জনপ্রতিনিধিদের কাছে দাবি জানিয়ে আসছেন, কিন্তু জনপ্রতিনিধিরা শুধু আশ্বাস দিয়ে আসছেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877